1. aruproypalo@gmail.com : Arup Kumar Roy : Arup Kumar Roy
  2. ssexpressit@gmail.com : shatabdirkagoj :
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩৩ অপরাহ্ন

সাভার ও ধামরাইয়ে আদালতের নির্দেশনায় অবৈধ ইটভাটা বন্ধ না করে উল্টো ইট পোড়ানোর অনুতি দেওয়া হচ্ছে

  • সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪
  • ২২২ বার পড়েছেন

শতাব্দী রায় : চলতি বছরের গোড়ার দিকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ১০০দিনে ৫০০ অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে কর্মসূচি ঘোষনা করেছিল। এর আগে বায়ুদূষণ কমাতে ঢাকার চারপাশে অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। কিন্তু ঢাকার সাভার ও ধামরাইয়ে একটি অবৈধ ইটভাটাও বন্ধ হয়নি। উল্টো ছাড়পত্র আর লাইসেন্স দিয়ে অবৈধ ইটভাটাকে বৈধ করা হচ্ছে। এর ফলে রাজধানীসহ আশপাশের এলাকায় বায়ুদূষনের মাত্রা বেড়েই চলেছে।

ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সাভার ও ধামরাইয়ে প্রায় ৪০০ ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০২৪ সালের ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় আড়াই বছরে দুই উপজেলার ২০৪টি ইটভাটাকে ইটপোড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

তথ্য বিশ্লেশন করে দেখা যায়, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০২৪ সালের ১৭ এপ্রিলের মধ্যে সাভারে ৬টি ইটভাটাকে নতুন দেখিয়ে এবং ৪৮টি ইটভাটাকে পুরাতন দেখিয়ে ইটপোড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে ধামরাইয়ের ৬৯টি ইটভাটাকে নতুন ও ৮১টি ইটভাটাকে পুরাতন দেখিয়ে ইটপোড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

মিরপুর মোহাম্মদপুর ও সাভার এলাকার ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মো. আলী আশরাফ ইফতেখার বলেন, ‘গত ১৫ বছরে সাভার ও ধামরাইয়ে নতুন কোনো ইটভাটা গড়ে উঠেনি। এই দুই উপজেলায় যেসব ইটভাটা রয়েছে তার সবই ১৫ থেকে ৪০ বছরের পুরোনো। তাই নতুন ইটভাটা হিসাবে লাইসেন্স দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এর পরেও নতুন ইটভাটা দেখিয়ে কিভাবে লাইসেন্স দেওয়া হলো তা আমার কাছে বোধোগম্য নয়।’

মো. আলী আশরাফ ইফতেখার বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তর যেসব ইটভাটাকে ছাড়পত্র দেয়। জেলা প্রশাসন কোনো তদন্ত না করেই ওইসব ইটভাটাকে লাইসেন্স দিয়ে দিচ্ছে।’

সাভার নদী ও পরিবেশ উন্নয়ন পরিষদের সাধারন সম্পাদক মুহাম্মদ শামসুল হক বলেন, ‘ইটপোড়ানো আইন অনুযায়ী সাভার ও ধামরাইয়ের একটি ইটভাটাও ইটপোড়ানোর অনুমতি পাওয়ার যোগ্য নয়। এর পরেও ওই দুই উপজেলার আনাচে-কানাচে অবৈধভাবে কয়েকশ ইটভাটা গড়ে উঠেছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রশাসন এসব অবৈধ ইটভাটা বন্ধ না করে উল্টো লাইসেন্স দিয়ে যাচ্ছে।’

মুহাম্মদ শামসুল হক আরও বলেন,‘২০২২ সালের আগের বছরগুলোতে সাভার ও ধামরাইয়ে যতটা ইটভাটাকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে গত আড়াই বছরে। অবৈধ ইটভাটাকে কাগজে কলমে বৈধ করার প্রশাসনের এই প্রতিযোগীতা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে।’

নতুন ইটভাটা দেখিয়ে ধামরাইয়ের জলসীন গ্রামের মা ব্রিকসকে ২০২৩ সালে ইটপোড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে । অথচ আবাসিক এলাকার মধ্যে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ওই ইটভাটায় ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইটপোড়ানো হচ্ছিল। বছর দুয়েক আগে পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে ইটপোড়ানোর দায়ে ভাটাটিকে জরিমানাও করেছিল।

একইভাবে রাজধানীর প্রবেশপথ আমিনবাজারের পাশে আবাসিক এলাকার এক কিলোমিটারের মধ্যে গড়ে উঠা মেসার্স বিসিএম অ্যান্ড কোং লিমিটেডকে নতুন ইটভাটা দেখিয়ে গতবছর ইটপোড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ইটপোড়ানো আইন অনুযায়ী ভাটাটি ছাড়পত্র ও ইটপোড়ানোর অনুমতি পাওয়ার কথা নয়। ভাটাটিতে ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে অনুমতি ছাড়াই ইট পোড়ানো হচ্ছিল বলে জানান স্থানীয়রা।

খবরটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন :